স্পন্দন

 প্রিয় …

আপনাকে কি বলে যে সম্বোধন করব বুঝতে পারছি না। তাই প্রিয় শব্দটার পর জায়গাটা খালি রাখলাম। আপনি আপনার ইচ্ছে মত কিছু একটা বসিয়ে নিয়েন।
যাই হোক, ভালো আছেন?
জানেন, আমার চিঠিটা পাওয়ার পর আপনি চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়ছেন গভীর আগ্রহে। সেই দৃশ্যটা ভেবে আমি চিঠিটা লিখছি।
কিন্তু আপনার মুখটা স্পষ্ট না। তাই বুঝতে পারছি না, এই চিঠি পেয়ে আপনার অনুভুতি কেমন। তবে আপনার অনুভূতি দেখার খুব শখ।
আচ্ছা আমাদের কি দেখা হবেনা? আর দেখা হবেই বা কেমন করে বলেন? আপনিও আমার শহর চিনেননা আর আমিও আপনার শহর চিনি না।
এইটা কোন কথা? তাই বলে কি আমাদের দেখা হবে না?
আচ্ছা! একটা ধাঁধার উত্তর দেন তো।
” তুমি থাকো ডালে ডালে, আমি থাকি জলে জলে। তোমার আমার দেখা হবে মরণের কালে। ”
ধাঁধার উত্তরটা দিতে পারলে একটা চকলেট দিবো। যেদিন দেখা হবে সেদিনই চকলেটটা দিবো। ভেবো না যে ফাঁকি দিবো। চকলেটের সাথে আরো কিছু দিবো। শুধু একটাবার একটাবার দেখা করতে চাই। হোক না সে দেখা প্রথম এবং শেষ দেখা। তবুও দেখতে চাই, যে না দেখেও কেন এত বিমোহিত হলাম।
আচ্ছা, আপনি দেখতে কেমন? দেখা হলে আপনাকে চিনবো কেমন করে? জানো! খুব জানতে ইচ্ছে করে!
কথা বললে আপনাকে কেমন দেখায়, হাসলে আপনাকে কেমন দেখায়, রাগ করলে আপনাকে কেমন দেখায়। আর কষ্ট! সেটা তো আপনাকে নাকি স্পর্শই করতে পারেনা। আচ্ছা, এত সুখ পান কোথায় বলেন তো? আমাকে তো কিছু দান করতে পারেন।
জানেন, আজকাল আমার নাকি একটা মুদ্রা দোষ হয়েছে। সেটা হল কথায় কথায় বলি, ‘এইটা কোন কথা?’
সেদিন বুবু রেগে বলেছিলো এই কথা ওর সামনে বললে কষে একটা চড় দিবে। আমি তো ওর কথা শুনেই অবাক হয়ে বললাম, ‘এইটা কোন কথা?’ আচ্ছা আপনিই বলেন, ‘এইটা কোন কথা?’
আচ্ছা চিঠিটা শেষ করা দরকার। যে কোন সময় বুবু চলে আসতে পারে। কিন্তু ভাবছি চিঠিটা শেষ করবো কি করে? স্কুল জীবনে বাংলা ক্লাসে চিঠি লিখতে দিলে কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে চিঠি লিখতাম। ক্লাসের শেষ ঘণ্টা পড়ে যেত তারপরও চিঠি লেখা শেষ হত না।
আর আপনার কাছে লিখতে গেলে তো সারা জীবনেও চিঠি লেখা শেষ হবেনা।
তাই ঠিক করেছি আর কথা বাড়াবো না। তবে চিঠির উত্তর দিয়েন অপেক্ষায় থাকবো। ভালো থাকবেন। অনেক ভালবাসা রইল।
ইতি,
M31 এর একটা প্লানেটের এলিয়েন।
From: M31 এর একটা প্লানেটের এলিয়েন।

Comments

Post a Comment